সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর অঞ্চলের গো-খামার থেকে উৎপাদিত দুধ সমিতিভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিক্রি ছাড়া আর কিছুই করতে পারতেন না খামারীরা। কিন্তু এখন পাল্টে গেছে সেই চিত্র। প্রান্তিক খামারীদের উৎপাদিত দুধকে ঘিরেই স্বপ্ন বুনেছেন উদ্যোক্তারা।
ইনসাফ ডেইরি প্রতিষ্ঠানের মালিক রফিকুল ইসলাম আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে মাধ্যমে দুগ্ধজাত বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে বাজারজাত করছেন। ফলে ধীরে ধীরে সম্ভাবনাময় শিল্পে পরিণত হচ্ছে এ দুগ্ধজাত পণ্য। এতে খামারীরা দুধের দাম ভালো পাওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান হয়েছে অনেকেরই। দেশের অন্যতম দুগ্ধ ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা। এ উপজেলায় রয়েছে দেশের সববৃহৎ গো-চারণ ভূমি। আর এ গো চারণ ভূমির প্রায় ১৫শ একর জায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছে ছোট বড় মিলে প্রায় ৩০ হাজার গো-খামার।
এসব খামার থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫ লাখ লিটার দুধ উৎপন্ন হয়। আর উৎপাদিত এ দুধ সরবরাহ করা হয় দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনকারী বেশ কয়েকটি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। খামারীরা এসব প্রতিষ্ঠানের সমিতিভুক্ত হওয়ায় তাদের নির্ধারিত প্রতি লিটার দুধ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করে থাকে। এতে উৎপাদিত দুধের সঠিক বাজার মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়তে হয় তাদের। মাঝে মধ্যে সমিতিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো দুধ সংগ্রহ কমিয়ে দিলে উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ দুধ নিয়ে বিপাকে পড়তে হতো খামারীদের।
কিন্তু এখন পাল্টে গেছে সেই চিত্র। ছোট ছোট খামারীদের লোকসানের হাত থেকে রক্ষায় স্থানীয় উদ্যোক্তারা গড়ে তুলেছে প্রায় অর্ধশত দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।