কদিন আগে বাজারে সয়াবিন তেল নিয়ে এক তেলেসমাতি কারবার ঘটে গেল। হঠাৎ করে বাজার থেকে তেল উধাও হয়ে গেছে। তারপর লিটার প্রতি দাম বাড়ানোর পর আবার বাজারে তেলের আবির্ভাব হয়েছে। একইসঙ্গে এই মূল্যবৃদ্ধি বাস্তবায়নে তিনটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কোনও কার্যকর ফলাফল বাজারে মেলেনি। এখনও সয়াবিন তেলের সংকটে ভুগছেন গ্রাহক ও খুচরা বিক্রেতারা। ক্রেতারা বলছেন দশ দোকান ঘুরলে এক দোকানে তেল পাই। কেউ কেউ দাম রাখে বেশি। আবার কেউ অন্যান্য পণ্য না কিনলে বিক্রি করছে না। প্রায় এক মাস ধরেই সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। তখনই ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতারা অনুমান করে বলেছিলেন, তেলের দাম হয়তো বাড়তে যাচ্ছে।
তাদের অনুমানকে সত্য প্রমাণ করে গত ৯ ডিসেম্বর সরকার তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এতে প্রতি লিটার খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ে আট টাকা করে। ফারজানা ভ্যারাইটিজ স্টোরের বিক্রেতা ফজলুর রহমান বলেন, আমাদের তেল দেয় না। আমরা ডিলারের কাছে বললে তারা বলে, তেল নাই। ডিলার যদি না দিতে পারে তাহলে আমরা কীভাবে পাবো? বাজার করতে আসা মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, কতদিন ধরে তেল নিয়ে একটা খেলা চলছে। দশ দোকান ঘুরলে এক দোকানে তেল পাই। এলাকার দোকানে তো পাইই না। এভাবেই চলে যাচ্ছে। গত ৯ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোজ্যতেল পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশীরউদ্দিন। এ সময় বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিনসহ দেশের ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।