একজন মুসলিমের জন্য অনেক অত্যাবশ্যক আমল আছে। তার মধ্যে পাঁচটি আমল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে সে পাঁচটিকে ইসলামের ভিত্তি বলা হয়েছে।
মাওলানা নোমান বিল্লাহ২ মিনিটে পড়ুন
হজরত আবু আব্দুর রহমান আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বর্ণনা করেছেন, আমি রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি,
بنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ: شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَحَجِّ البَيتِ، وَصَوْمِ رَمَضَانَ
‘ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির উপরে প্রতিষ্ঠিত। ১. এ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো ইলাহ নেই, মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রসুল। ২. নামাজ কায়েম করা। ৩. জাকাত আদায় করা। ৪. বাইতুল্লায় হজ পালন করা এবং ৫. রমজানের রোজা পালন করা।’ (বুখারি ও মুসলিম)
হাদিসের ব্যাখ্যা
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনু উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ইসলাম পাঁচটি বিষয়ের উপরে প্রতিষ্ঠিত” অর্থাৎ ইসলামের উদাহরণ হচ্ছে একটি প্রাসাদের মতো। আর এই পাঁচটি বিষয় হচ্ছে প্রাসাদের ভিত্তি ও তার স্তম্ভের ন্যায় যার উপরে সেটি দাঁড়িয়ে থাকে।
ঈমান
ঈমান ছাড়া একজন মানুষ মুসলিম এটি ছাড়া ইসলাম বিশুদ্ধ হয় না। এ জন্য কালিমায়ে শাহাদাত মুখে উচ্চারণ করা, এর অর্থ জানা এবং এর দাবি অনুযায়ী আমল করা অবশ্যই জরুরি।
আর মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেসব বিষয়ে সংবাদ দিয়েছেন এবং যার সনদ আমাদের কাছে বিশুদ্ধ প্রমাণিত হয়েছে তাতে তাকে সত্যায়ন করা এবং তিনি যা আদেশ করেছেন তা বাস্তবায়ন করা, তিনি যা থেকে নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকা আর তিনি যা শরিয়ত হিসেবে প্রণয়ন করেছেন তা ছাড়া আল্লাহর ইবাদাত না করা।
নামাজ
নামাজ কায়েম করা। তাওহিদ ও রেসালাতের সাক্ষ্যের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রোকন এটি। যা দিন ও রাতে মোট পাঁচ বার আগমন করে। এ কারণে এটি বান্দা ও তার রবের মধ্যে একটি শক্তিশালী বন্ধন। নামাজ কায়েম করা মানে তাকে যথাযথভাবে আদায় করা।
জাকাত
জাকাত আদায় করা। জাকাত একটি আর্থিক ইবাদত, যা বছরে একবার দিতে হয়।। যখন বছর পূর্ণ হয় অথবা যখন ফসল পরিপক্ব ও বের করা হয় আর তার উপকারিতা অন্যের পর্যন্ত পৌঁছে। এ কারণে তাকে হজ ও রোজার আগে ও নামাজের পরে উল্লেখ করা হয়েছে।
হজ
বাইতুল্লায় হজ পালন করা। এটি শারীরিক ও আর্থিক ইবাদত। কেননা মানুষ তা নিজেই পালন করে, তবে যার ক্ষেত্রে প্রতিনিধি হওয়া জায়েয আছে, তার ক্ষেত্রে প্রতিনিধি যথেষ্ট হবে। এটি আর্থিক ইবাদতও বটে, কেননা তাতে অর্থ ও পাথেয় এর প্রয়োজন হয়।
রমজানের রোজা
রমজানের রোজা পালন। রোজা শারীরিক ও আত্মিক ইবাদাত, তা অন্যের পর্যন্ত পৌঁছায় না। তাই নিয়তসহ নির্দিষ্ট কিছু বিষয়কে পরিত্যাগ করা। যেগুলোকে রোজা ভঙ্গকারী বলা হয়। রোজা বছরে একবার ধারাবাহিকভাবে এক মাস পালন করা ওয়াজিব হয়। আর তা হলো রমজান মাসের রোজা।