বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় ভালো ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন। বাংলাদেশের বাস্তবতায় স্নাতক সম্পন্ন হওয়ার পর পরই চাকরি পাওয়া কঠিন।যার কারণে একাডেমিক পাঠ শেষ করে দীর্ঘ সময় ধরে নিতে হচ্ছে চাকরির প্রস্তুতি।
আর ক্যারিয়ার গড়ার আশায় প্রিয়জন থেকে দূরে ক্যাম্পাসে ঈদ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অনেক শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা জানান, ঈদের পরই ৪৫ বিসিএস প্রিলিমিনারির পরীক্ষা। তাই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে তারা হলে অবস্থান করছেন। নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের ঈদের পর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা তাদেরও কিছু অংশ এবার হলে ঈদ করছেন।
ঈদে বাড়ি না যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আসলেই ঈদের পরই আমাদের বিসিএস পরীক্ষা। দীর্ঘদিন হলো প্রস্তুতি নিয়েছি। এখন শেষ মুহূর্তে রিভিশন দিচ্ছি। ক্যারিয়ার গড়ার জন্য হয়ত এখন ঈদের আনন্দটা ত্যাগ করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শামিম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ২৭ তারিখ থেকে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। টিকিট পেতে ভোগান্তি আর গিয়ে দ্রুত চলে আসতে হবে এজন্য যাইনি।
হল সংশ্লিষ্টরা জানান, যারা হলে ঈদ করবেন তাদের তালিকা করা হয়েছে। সবার জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি হলেই ৫০ থেকে ১৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবদুর রহিম বাংলানিউজকে বলেন, হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের আমরা তালিকা করেছি। সে অনুযায়ী সকাল ও দুপুরে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চেষ্টা করেছি শিক্ষার্থীরা যেন প্রিয়জন থেকে দূরে ঈদ করার কষ্টটা কিছুটা হলেও ভুলে থাকতে পারেন।
অপরদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়েছেন।
এক শুভেচ্ছা বাণীতে উপাচার্য বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর ধনি-গরিব, শ্রেণি-পেশা ও ধর্ম নির্বিশেষে সবার জীবনে সৌহার্দ্য, সহমর্মিতা, সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা নিয়ে আসে। সব ভেদাভেদ ভুলে এই দিনে সবাই সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনে মিলিত হয়।
প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য উপাচার্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মাহে রমজানের আত্মশুদ্ধি ও সংযমের শিক্ষা গ্রহণ করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, উদার ও মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সবাই এগিয়ে আসলেই পবিত্র ঈদুল ফিতরের মূলদর্শন ও মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটে।